সংগঠনের অপরাধনীতি একটি প্রতিষ্ঠানের বা সংগঠনের মধ্যে অপরাধ প্রতিরোধ,অপরাধ তদন্ত, এবং আপরাধের শান্তি সম্পর্কিত নীতি এবং প্রক্রিয়া বোঝায়। এটি সংগঠনটির কর্মীদের বা সদস্যদের অপরাধমূলক কার্যকলাপ থেকে রক্ষা করতে এবং তাদের অপরাধমূলক আচরণে জড়িয়ে পড়া ঠেকানোর জন্য তৈরি করা হয় অ সংগঠনের অপরাধনীতি সাধারনত নিচের দিকে গঠন করা হয়
৩৮.১. প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাঃ অপরাধ প্রতিরোধের জন্য শিক্ষামূলক কার্যংক্রম নৈতিকতা এবং আচরনবিধি তৈরির মাধ্যমে সংগঠনের নৈতিকজ আচরনের প্রতি সচেতন করা।
৩৮.২. সংগঠন তদন্তা অপরাধ সংঘঠিত হলে দ্রুত তদন্ত শুরু করা এবং অপরাধীকে সনাক্ত করা।
৩৮.৩. শান্তিমূলক ব্যবস্থাঃ অপরাধ সংঘঠিত হলে সংগঠনটি তার সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে, যেমন, সাসপেনসন, পদত্যাগ, বা আইনি ব্যবস্থা।
৩৮.৪. আইনি নীতি এবং আইনানুগ ব্যাবস্থায় অপরাধ সংঘটিত হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনিকে অবহিত করা এবং আইনের আওতায় ব্যবস্থা গ্রহন।
৩৮.৫. দায়িত্ববোধ এবং জবাবদিহিঃ সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরি করা এবং তাদেরকে তাদের আচরনে জবাবদিহি করতে উৎসাহিত করা।
৩৮.৬. বিধি ও আইন মেনে চলাঃ সংগঠনের নীতি সর্বদা সংশ্লিষ্ট দেশের আবনি এবং আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ন থাকতে হবে।
৩৮.৭. কোন সদস্য/কর্মীর যে কোন অপরাধ করলে সেটা অপরাধ বলে বিবেচিত হইবে।
৩৮.৮. কোন সদস্য/ কর্মী অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে (এক বা একাধিক) তদান্ত কমিটি গঠন করতে হইবে।
৩৮.৯. কোন সদস্য/ কর্মী অপরাধ করলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত, পূর্ণাঙ্গ বরখাস্ত করতে পারবে।
৩৮.১০. কোন সদস্য/ কর্মীর অপরাধ প্রমাণিত হইলে সমিতির আইন অনুযায়ী উক্ত কর্মী/ সদস্য কে সংগঠন থেকে বিনা নোটিশে বাতিল করতে পারবে।
৩৮.১১. অপরাধ বিবেচনায় সদস্য/কর্মীর জামানত বাজেয়াপ্ত বা লভ্যাংশ হারাতে পারে।
৩৮.১২. অপরাধ বিবেচনায় সদস্য/ কর্মীর বিরুদ্ধে সংগঠন আইনের আশ্রয় নিতে পারবে।
৩৮.১৩. কোন সদস্য/ কর্মী অপরাধ করলে উক্ত সদস্য / কর্মী কোন আইনের আশ্রয় নিতে পারবে না।
৩৮.১৪. তদান্ত কমিটিকে ৩ থেকে ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে তদান্তের রিপোর্ট প্রদান করতে হইবে।
৩৮.১৫. উক্ত সংগঠন সকল ধরনের আইন, নিয়ম-কানুন সকল সদস্যকে জানিয়ে দিতে হইবে।
৩৮.১৬. সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সদস্যের সাথে চুক্তি করতে হইবে।
৩৮.১৭. সংগঠনের সকল সদস্যকে সমান অধিকার ও সমান চোখে দেখতে হইবে।
৩৮.১৮. সংগঠনের সকল সদস্যকে সমান লভ্যাংশ দিতে হইবে।
৩৮.১৯. সংগঠনের সকল সদস্যকে সংগঠনের আইন মানতে হইবে।
৩৮.২০. যে কোন সদস্যের যে কোন মতামত (সঠিক হলে) গ্রহন করতে হইবে।
৩৮.২১. সংগঠনের সদস্য কোন ধরনের সুদের সাথে যুক্ত হতে পারবে না কিংবা কোন কর্মীর কাছে চাইতেও পারবে না।
৩৮.২২. কোন সদস্য সংগঠনের দায়িত্ব নেওয়ার পর তার কাজে অবহেলা করলে তাতে যদি সংগঠনের ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে ওই সদস্যের ৫% জমাকৃত আমানত কেটে নেওয়া হবে।
ধারা২৫. বিভিন্ন সদস্য পদ বাতিলের বিধানঃ