কার্যকারী সদস্যদের দায়িত্ব সাধারণত কোন সংগঠন বা কমিটির কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করা এবং সংগঠনের উদ্দেশ্য পূরণে সহযোগিতা করা। তবে এটি নির্ভর করে সেই সংগঠন বা কমিটি গঠনতন্ত্রে ও নীতিমালার উপর, সাধারণভাবে কার্যকারী সদস্যদের দায়িত্বগুলো নিম্নরুপ হতে পারে
সংগঠনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিকল্পনা প্রনয় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
সাধারন সভা বা কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অংশগ্রহণ এবং মতামত প্রদান।
সংগঠনের কার্যক্রম বাস্তবায়নঃ
আর্থিক দায়িত্বঃ
নিয়ম ও নীতিমালা অনুসরনঃ
প্রতিনিধিত্বঃ
সংগঠনের ইমেজ উন্নয়নে কাজ করা।
প্রতিবেদন তৈরি ও উপস্থাপনঃ
যোগাযোগ এবং সমন্বয়ঃ
সক্রিয় অংশগ্রহণস্ত
মোঃ জুয়েল হাসান
আল আমিন
মোঃ বেলাল হোসেন
মোঃ মিরাজুল ইসলাম
রাইসুল ইসলাম
মোঃ সাইফুল ইসলাম (মাদারীপুর)
সংগঠনের রুলস বা চার্টার তৈরিঃ প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যরা সাধারনত সংগঠনের আইন বা নিয়মাবলি তৈরি করেন, যা সংগঠন পরিচালনা করার জন্য একটি মৌলিক কাঠামো প্রদান করে।
অফিসিয়ার নির্বাচনঃ প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যরা প্রাথমিকভাবে সংগঠনের নেতৃত্বের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মকর্তাদের নির্বাচন করতে পারেন। যেমন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ইত্যাদি।
সদস্য গ্রহণ এবং বরখাঃ প্রতিষঠাকালীন সদস্যরা নতুন সদস্য সংগ্রহ করতে এবং বিদ্যমান সদস্যদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
আইনগত ব্যবস্থাঃ প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যরা সংগঠনের আইনি রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য আইন বিষয়াদি পরিচালনা করতে পারেন।
সংগঠনে কোন ধরনের অনিয়ম, অরাজগতা, ভাংগন দেখা দিলে সমস্ত ক্ষমতা প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যরা নিতে পারবে। I
সংগঠনের ভালোর জন্য যে কোন সিদ্বান্ত প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যরা নিতে পারবে।
তবে প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যরা আর্থিক কোন সুবিদা নিতে পারবে না।
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যরা চাইলে সকলের সাথে আলোচনা করে সংগঠন বাতিল করতে পারবে।
একজন সভাপতির দায়িত্ব ও কর্তব্য সাধারণত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনা এবং সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য নেতৃত্ব প্রদান করা।
সভা পরিচালনাঃ
সভার তারিখ, সময় ও স্থান নির্ধারণ।
এজেন্ডা প্রস্তুত এবং আলোচনার বিষয়বস্তু ঠিক করা।
সভায় শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সবার মতামত শোনা।
ভোটাভুটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহন নিশ্চিত করা।
সংগঠনের নেতৃত্ব প্রদানঃ
সংগঠনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং লক্ষ্য নির্ধারণে ভূমিকা রাখা।
সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া এবং সহায়তা করা।
কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ।
প্রতিনিধিত্ব করাঃ
প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা।
সংগঠনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে ভূমিকা পালন।
সমন্বয় করাঃ
প্রণোদনা দেওয়াঃ
সংকট মোকাবিলাঃ
নিরীক্ষা ও তত্ত্বাবধানঃ
সংগঠনের আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ।
সহ-সভাপতির দায়িত্ব সাধারণত একটি সংগঠন বা কমিটির ধরণ ও গঠনতন্ত্রের ওপর নির্ভর করে। তবে সাধারনভাবে, সহ-সভাপতির দায়িত্বগুলো হলো।
সভাপতিকে সহায়তা করাঃ
সভাপতি অনুপস্থিত থাকলে বা কোন কারণে দায়িত্ব পালন করতে না পারলে সহ-সভাপতি সভাপতির ভূমিকা পালন করেন।
সভাপতির কাজগুলো সহজতর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন।
পরিকল্পনা ও পরিচালনায় অংশগ্রহণঃ
সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নেন।
কার্যক্রম ও প্রকল্পসমূহ তদারকি করেন।
সভায় নেতৃত্ব প্রদানঃ
সভাপতি অনুপস্থিত থাকলে সভার সভাপতিত্ব করেন।
সভার কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালিত করতে সহযোগিতা করেন।
উপদেষ্টা ভূমিকা পালন
সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন এবং তাদের প্রয়োজনে পরামর্শ দেন।
সংগঠনের নীতি ও আদর্শ অনুসারে সদস্যদের পরিচালিত করেন।
সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করাঃ
সভাপতি না থাকলে, বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত অনুষ্ঠানে সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করেন।
সংকট ব্যবস্থাপনাঃ
সংগঠনে কোন সমস্যা বা বিরোধ দেখা দিলে সমাধানের জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
প্রতিবেদন প্রস্তুত ও তদারকিঃ
কার্যক্রমের প্রতিবেদন প্রস্তুত করা বা তার তদারকি করা।
সংগঠনের উন্নয়নের বিষয়ে সদস্যদের অবহিত করা।
সহ-সভাপতির ভূমিকা মূলত সভাপতিকে সমর্থন করা এবং তার অভাব পূরণ করার জন্য সংগঠনের স্বার্থে কার্যকর ভূমিকা পালন করা।
সাধারণ সম্পাদক একটি সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন।
সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনাঃ
সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করা।
সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা।
সংগঠনের নিয়ম-কানুন ও সিদ্বান্ত কার্যকর করা।
সভা আয়োজন ও পরিচালনাঃ
সাধারণ সভা, কার্যনির্বাহী সভা বা বিশেষ সভার আয়োজন করা।
সভার এজেন্ডা প্রস্তুত করা এবং কার্যপ্রণালী পরিচালনা করা।
নথি সংরক্ষণঃ
সংগঠনের বিভিন্ন কাজের প্রতিবেদন প্রস্তুত করা।
গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ডকুমেন্ট সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা।
নেতৃত্ব প্রদানঃ
সংগঠনের কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য নেতৃত্ব দেয়া।
প্রয়োজন হলে অন্য সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান।
যোগাযোগ ও সমন্বয়ঃ
উপদেষ্টা ও অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা।
সংগঠনের বার্তা প্রচার এবং সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করা।
আর্থিক তদারকি (যদি প্রয়োজন হয়):
অর্থ সংক্রান্ত কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করা এবং বাজেট প্রস্তুতিতে অংশগ্রহণ করা।
তহবিল সংগ্রহ এবং ব্যয়ের দিকনির্দেশনা দেয়া।
সংগঠনের প্রতিনিধিঃ
প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করা।
গণমাধ্যম বা অন্যান্য বাহ্যিক যোগাযোগে সংগঠনের পক্ষে কথা বলা।
সমস্যা সমাধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ
সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধ বা সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখা।
সংগঠনের স্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করা।
সাধারণ সম্পাদকের ভূমিকা সংগঠনের ধরণ ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে, তবে তার মূল দায়িত্ব হলো সংগঠনকে সঠিক পথে পরিচালিত করা।
যুগ্ম সাধারন সম্পাদকের ভূমিকা সাধারনত একটি সংগঠন বা কমিটির প্রশাসনিক কার্যক্রমের সহায়তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের কাজ সংগঠনের ধরনের উপর নির্ভর করে কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে প্রশাসনিক কার্যক্রমে সহায়তা
সাধারন সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করা।
মিটিং এবং কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়ক ভূমিকাপালন করা।
সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কার্যক্রম পরিচালনা করা।
প্রতিবেদন এবং নথি প্রস্তুত করাঃ
মিটিংয়ের কার্যবিবরনী তৈরি করা এবং তা সংরক্ষন করা।
বার্ষিক বা নির্ধারিত সময়ের জন্য রিপোর্ট তৈরি করা।
যোগাযোগ ও সমন্বয়ঃ
সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা।
সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে সদস্য ও সংশিষ্টদের অবহিত করা।
অন্যান্য কমিটি বা বিভাগ গুলোর সাথে সমন্বয় করা।
ইভেন্ট এবং কার্যক্রম পরিকল্পনাঃ
সংগঠনের ইভেন্ট এবং কার্যক্রমগুলোর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সহায়তা করা।
দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া এবং সেগুলোরসুষ্ঠু তত্ত্বাবধান করা।
সাংগঠনিক নীতি নিধারনে অংশগ্রহনঃ
বিভিন্ন নীতি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় মতামত প্রদান করা।
সাধারণ সম্বপাদকের নির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা।
সংগঠনের প্রচার ও প্রসারঃ
সংগঠনের ইমেজ এবং কার্যক্রম সম্পার্কে সদস্যদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো।
মিডিয়া এবং অন্যান সংস্থার সাথে সম্পর্ক রক্ষা করা।
দায়িত্বপূর্ন অবস্থান পালনঃ
সাধারন সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তাঁর দায়িত্ব পালন করা।
সংগঠনের স্বার্থ রক্ষা ও সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য উদ্যোগ নেওয়া।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের কাজ সংগঠনের কার্যক্রমকে মসৃন এবং ফলপ্রসূ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন।